গবেষণা কেন প্রয়োজন? রিসার্চ বাংলা
গবেষণা কেন প্রয়োজন? রিসার্চ বাংলা
দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য যে প্রক্রিয়া প্রয়োগ করে বিষয়বস্তুর সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিমার্জন, বা নতুন কিছু সৃষ্টির মাধ্যমে সমাধান করা হয় তখন তাকে গবেষণা বলা হয়। অর্থাৎ, বাস্তব জীবনে সময়ের সাথে জীবনপথ আপডেট রাখতে আমাদের গবেষণা প্রয়োজন। জ্ঞান অর্জনের জন্য আমাদের গবেষণা প্রয়োজন। অভাববোধ দূর করার জন্য গবেষণা প্রয়োজন। সমস্যার সমাধানের জন্য গবেষণা প্রয়োজন। নতুন কিছু তৈরির জন্য গবেষণা প্রয়োজন। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত করার জন্য গবেষণা প্রয়োজন। প্রত্যেক বিষয়ের বিষয়ভিত্তিক মান উন্নয়নের জন্য গবেষণা প্রয়োজন। গবেষণা ব্যতীত ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, অঞ্চল/দেশ উন্নয়ন সম্ভব না।
গবেষণা শুরু করার পূর্বে বা গবেষণা করতে আগ্রহী হলে কিংবা নতুন কিছু করতে চাইলে প্রথমে জানতে হবে হাইপোথিসিস কি, জ্ঞান কি, থিসিস কি। এরপর জানতে হবে গবেষণা কি। মানুষ তার বাস্তবতায় তিনটি বোধশক্তি দ্বারা ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে। যেমন, অভাববোধ, উদ্দেশ্যমুলক আচরণ, উদ্দেশ্যসাধন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যখন কোনো ব্যক্তির পানির পিপাসা পায় তখন সে পানির অভাববোধ করে। এখন তার পানি প্রয়োজন? এই জন্য সে পানির সন্ধান করে। এই সন্ধান করাটাই হচ্ছে উদ্দেশ্যমুলক আচরণ। এবং, যখন সে পানি পায় এবং পিপাসা মিটায় তখন তার উদ্দেশ্য সাধন হয়। যেহেতু আমাদের নদী আছে, টিউবওয়েল আছে, বৃষ্টি হতেও পানি পাচ্ছি, তাহলে আমাদের কেন সন্ধান করতে হবে? নদীর পানি দিনদিন দুষিত হচ্ছে তাছাড়া সকলের আবাস্থল বিবেচনায় নদীর পানি সহজতর না। আবার, বৃষ্টিও সারাবছর হয়না। এইজন্য সহজ উপায় হচ্ছে টিউবওয়েল। টিউবওয়েল কি মানুষের তৈরি না? টিউবওয়েল ও মানুষের তৈরি। টিউবওয়েল গবেষণার মাধ্যমে আবিষ্কার করা হয়েছে। এখানেই কি শেষ? না, মাটির নিচ থেকে পানি উঠানোর জন্য নতুন নতুন উপায় তৈরি হয়েছে। আগামীতেও আরও উন্নত উপায় আবিষ্কার হবে। আমি মাত্র একটা উদাহরণ টানলাম। আমরা বাস্তব জীবনে একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে জীবনযাপন করছি। একটা নিয়মের মধ্য দিয়ে চলছি। অর্থাৎ, রুটিনবাঁধা নিয়মে চলছি। এর মাঝেই আমাদের অভাববোধ জাগ্রত হচ্ছে, এরই মাঝে কেউ উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে উদ্দেশ্যমুলক আচরণ করছি, কেউ বা এরিয়ে চলছি। এখানে উদ্দেশ্যমুলক আচরণ যখন একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পাদন করা হবে, তখন তা হবে গবেষণা।
অর্থাৎ, গবেষণাকে আমরা একটা প্রক্রিয়া বলতে পারি। কারণ, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান করা হয়ে থাকে (প্রক্রিয়া হচ্ছে কাজের ধারাবাহিকতা)। আমি কেবল বুঝাতে চাইছি যে বাস্তব জীবনে গবেষণা কেন প্রয়োজন। গবেষণা নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির জন্য সীমাবদ্ধ, তা না। যে কেউ গবেষণা করতে পারে। ব্যক্তিজীবনেও গবেষণার গুরুত্ব আছে। রিসার্চ বাংলা ওয়েবপেজ ভিত্তিক ব্লগ সাইটের এটাই মুল উদ্দেশ্য। কিভাবে গবেষণাকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করবেন। আপনি যখন কোনো বই বা ওয়েবপেজে গবেষণা কি তার সন্ধান করবেন, তখন দেখবেন, গবেষণা হল জ্ঞানের মজুদ বাড়ানোর জন্য একটা সৃজনশীল এবং পদ্ধতিগত কাজ। এই পদ্ধতিগত কাজই হচ্ছে প্রক্রিয়া বা কাজের ধারাবাহিকতা। একটা করে বিষয় আবিষ্কার হবে আর, জ্ঞানের একটা শাখা বাড়বে। শুধু তাই না, গবেষণার মাধমে জ্ঞানের সংশোধন বিয়োজন বা পরিমার্জন ও হয়। আপনি যখন গবেষণা শুরু করবেন, তার আগে জানতে হবে জ্ঞান কি, হাইপোথিসিস কি, থিসিস কি। কারণ গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞান তৈরি হয়।
রিসার্চ বাংলা ওয়েবপেজের মুল উদ্দেশ্য হল গবেষণা বিষয়ক ধারণা সম্পর্কে অবগত করা। বাস্তব জীবনে গবেষণার প্রয়োগ ঘটানোতে সহযোগীতা করা। রিসার্চ বাংলা গবেষণা বিষয়ক দলিল বা কারো সাথে প্রতিযোগিতা করে না। গবেষণা বিষয়ে সম্ভাব্য ধারণা এবং জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহযোগীতা করে কিন্তু, পূর্ণ জ্ঞানের নিশ্চয়তা দেয় না। মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি পায় অধ্যায়নের মাধ্যমে, চর্চার মাধ্যমে। রিসার্চ বাংলা কেবল গবেষণায় উন্মুক্ত চিন্তার প্রকাশ করে। যাতে করে মানুষ তার বাস্তব জীবনে গবেষণার প্রয়োগ ঘটিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারে। পূর্বে পোস্ট করা হয়েছে এমন হাইপোথিসিস কি এবং জ্ঞান কি। গবেষণায় জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা পড়তে পারেন। এছাড়াও অন্যান্য বিষয় ধাপে ধাপে আপডেট হচ্ছে। নিয়মিত পোস্ট আপডেট পেতে রিসার্চ বাংলা ফেসবুক বা টুইটার একাউন্ট ফলো করে রাখতে পারেন। আর, যুক্তিযুক্ত মনে হলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ রইলো।
রিসার্চ বাংলা।
গবেষণা বিষয়ক বাংলা সাহিত্য
গবেষণা বিষয়ক উন্মুক্ত পোস্ট পড়তে research bangla র সাথে থাকুন। ধন্যবাদ