The first beginning of Bengali literature. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সূচনা।


  বাংলা সাহিত্য।

বাংলা সাহিত্যের প্রথম সূচনা। বাংলা সাহিত্য


বাংলা সাহিত্যের প্রথম সূচনা, বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ, বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগ, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস প্রাচীন ও মধ্যযুগ pdf, বাংলা সাহিত্যের খুঁটিনাটি pdf, বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের কবি, বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের বৈশিষ্ট্য



বাংলা সাহিত্য।


বাংলা সাহিত্যের প্রথম সূচনা হয় চর্যাপদের মাধ্যমে। চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্য ছিল কাব্য প্রধান। হিন্দুধর্ম, ইসলাম ধর্ম ও বাংলার লৌকিক ধর্ম বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে গড়ে ঊঠেছিল সে সময়ের বাংলা সাহিত্য। মঙ্গল কাব্য, বৈষ্ণব পদাবলি, রামায়ন, শাক্ত পদাবলি, মহাভারত, পীর সাহিত্য, নাথ সাহিত্য, বাউল পদাবলি, এবং ইসলামি ধর্ম সাহিত্য ছিল বাংলা সাহিত্যের মুল বিষয়।



বাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্য নামে পরিচিত। আনুমানিক খ্রিষ্টীয় নবম অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাংলা সাহিত্য আধুনিকতার সূত্রপাত হয়। উনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার নবজাগণের যুগে কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে বাংলা সাহিত্যে এক নতুন যুগের সূচনা হয়। মুলত এই সময় থেকে ধর্মীয় বিষয়বস্তুর বদলে মানুষ মানবতাবাদ ও মানব মনসত্ব বাংলা সাহিত্যে প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে।



১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর বাংলা সাহিত্য দুটি ধারায় বিভক্ত হয়।


প্রথমত :- কলকাতা কেন্দ্রিক পশ্চিম বঙ্গের সাহিত্য এবং,


দ্বিতীয়ত :-  ঢাকা কেন্দ্রিক পূর্ব পাকিস্তান বঙ্গের সাহিত্য।


পূর্ব পাকিস্তান বঙ্গের সাহিত্য ১৯৭১ সালে দেশ ভাগের পর বর্তমানে বাংলাদেশ বাংলা সাহিত্য। বর্তমানে বাংলা সাহিত্য বিশ্বের একটি অন্যতম সমৃদ্ধ সাহিত্য ধারা হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে।



সাহিত্য___


সাহিত্য শব্দটির উৎপত্তি সহিত শব্দ থেকে। পৃথিবীর ভাষাগুলিতে সমগ্র কাল্পনিক ও বাস্তব বিষয়ের রচনাকে সাহিত্য বলা হয়। মানুষের সমাজ জীবনে সাহিত্যের ভুয়সী প্রভাব ও গুরুত্ব আছে। ইতিহাস ও সমাজ গবেষনার ক্ষেত্রেও সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা আছে। মোট কথা, ইন্দ্রিয় দ্বারা জাগতীক বা মহাজাগতিক চিন্তা চেতনা অনুভূতি সৌন্দর্য্য ও শিল্পের লিখিত বা লেখকের বাস্তব বা কাল্পনিক জীবনের অনুভূতি এর লিখিত রুপ হচ্ছে সাহিত্য। বাংলা সাহিত্যে অনেক শ্রেণীবিভাগ রয়েছে। তারমধ্যে গদ্য, পদ্য ও নাটক মুখ্য বিষয়।



গদ্য -


 গদ্য হল বাংলা ভাষার একটি আধুনিক রুপ যা সাধারণ পদবিন্যাস ও স্বাভাবিক বক্তৃতার ছন্দে লেখা হয়। যেমন ; প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ইত্যাদি। গবেষনাপত্র, রচনাসমগ্র এবং যাবতীয় বিষয়ে উল্লেখিত বর্ণনা গদ্যাংশের অন্তর্ভূক্ত।



পদ্য -


 পদ্য হল পদবিন্যাস কবিতার দৃশ্যমান  বিষয়বস্তুর উপর নির্ভরশীল। পদ্য গদ্যের তুলনায় ভিন্ন। গদ্য বাক্য আকারে লেখা হয় এবং, পদ্য ছত্র আকারে লেখা হয়। ভাষার নান্দনিক ও ছন্দবদ্ধ গুন ব্যবহার করে লেখা হয়। যেমন; কবিতা, ছড়া, ইত্যাদি।



নাটক -


 নাটক হল এমন এক ধরনের সাহিত্য যার মুল উদ্দেশ্য হল পরিবেশন করা। সাহিত্যের এই ধারায় সংগীত ও নৃত্যও যুক্ত করা হয়। মঞ্চ নাটক হল নাটকের একটি উপধরন, যেখানে একজন নাট্যকারের লিখিত নাটকীয় কাজকে মঞ্চে পরিবেশন করা হয়ে থাকে। এতে চরিত্রগুলোর সংলাপ বিদ্যমান থাকে এবং এতে পড়ার পরিবর্তে নাটকীয় বা মঞ্চে পরিবেশন হয়ে থাকে। যেমন ; নাটিকা, মঞ্চ নাটক ইত্যাদি।




অর্থাৎ, একজন লেখক যখন কোন ক্ষুদ্র জমিখন্ডকে কেন্দ্র করে কোন কাল্পনিক বা বাস্তব লিখিত রচনা করে, তখন সে লেখাকে সাহিত্য বলা যায়। তবে, তত্ত্ব মেনে সাহিত্য গদ্য, পদ্য বা নাটক বিভাগে আওতাভুক্ত হয়। তত্ত্ব প্রাসঙ্গিক বিষয়কে নিয়মিত, শ্রেণীবদ্ধ, সুশৃঙ্খল ও সুবিন্যাস্তভাবে শব্দ ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করে।



সাহিত্য কাকে বলে?


উত্তরঃ- লেখক যখন কোন ক্ষুদ্র জমিখন্ডকে কেন্দ্র করে কোন কাল্পনিক বা বাস্তব লিখিত রচনা করে, তখন সে লেখাকে সাহিত্য বলা যায়। তবে, তত্ত্ব মেনে সাহিত্য গদ্য, পদ্য বা নাটক বিভাগে আওতাভুক্ত হয়। তত্ত্ব প্রাসঙ্গিক বিষয়কে নিয়মিত, শ্রেণীবদ্ধ, সুশৃঙ্খল ও সুবিন্যাস্তভাবে শব্দ ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করে।





কপিরাইট :- মোঃ নূর ইসলাম


ফেসবুক আইডি :- নূর ইসলাম।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url