Research Topics. Selection of research topic.গবেষণার বিষয় নির্বাচনে করণীয়।
Selection of research topic.
গবেষণার বিষয় নির্বাচনে করণীয়।
গবেষণার বিষয় নির্বাচনে করণীয়।
গবেষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে Hypothesis বা অনুমান বা অনুমিত ভাবনা বাস্তবায়ন করতে চাইবেন, তখন নিম্নে উল্লেখিত দিকগুলো খেয়ালে রাখা উচিৎ। কোন বিষয়ে গবেষণা, কি জন্য গবেষণা, কার জন্য গবেষণা, গবেষণা করলে কার উপকার হবে, গবেষণা করলে নিজের উদ্দেশ্য সাধন হবে কিনা ইত্যাদি বিষয় আপনাকে জানান দিবে যে, আপনি কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা করবেন বা বর্জন করবেন।
মুলত অভাববোধ থেকে জাগ্রত হওয়া ভাবনার উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষে যে পদ্ধতিগত প্রক্রিয়ায় উদ্দেশ্য সাধন করে, সে পদ্ধতিগত প্রক্রিয়াটাকে বলা হয় গবেষণা। বিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া হচ্ছে গবেষণা। গবেষণা সংযোজন করে, গবেষণা সংকুচিত করে, গবেষণা পরিমার্জন করে, গবেষণা নতুন সৃষ্টি করে, গবেষণা সমস্যার সমাধান করে, গবেষণা তথ্য সংগ্রহ করে, গবেষণা তথ্য বিশ্লেষণ করে।
প্রত্যেক বিষয়েরই একটা প্রক্রিয়া আছে। যা বিষয়ভিত্তিক বিষয়ের ধর্ম। অহরহ উদাহরণ আপনাদের চারিপাশে ঘুরাঘুরি করছে। কিন্তু, অভাববোধ যেহেতু শুধু মানুষের মধ্যে কাজ করে, সেহেতু উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মানুষের ই গবেষণা করা উচিৎ। এবং মানুষেরাই গবেষণা করে।
গবেষণা যে শুধু একাডেমীক, তা না। নন-প্রফেশনাল হিসেবেও গবেষণার গুরুত্ব রয়েছে। এবং নন-প্রফেশনালভাবে গবেষণার অনেক প্রয়োগ হচ্ছে মৌখিকভাবে। অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি। কারণ, কিছু কিছু ব্যক্তিকে বা নিজের অতীত কল্পনা করেন যে, আপনি কখনো কোনো সমস্যায় পড়েছেন কিনা এবং তা সমাধান হয়েছে কিভাবে। সমাধান করার জন্য কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন কিনা। সমস্যার সমাধানের জন্য ভাবতে হয়েছে কিনা। "ভাবনাটা হচ্ছে গবেষণার Hypothesis"। এরচেয়ে সহজ উদাহরণ আর কি হতে পারে!
সমস্যার বিকল্প হচ্ছে অভাববোধ, উদ্দেশ্য সাধন হচ্ছে সমস্যার সমাধান। সমস্যার সমাধানের জন্য যে পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া ব্যবহার করছেন, তা হল গবেষণা।
উল্লেখিত বর্ণনা বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায়, গবেষণা প্রধানত দুই প্রকার ;
১/ Non-proffesional research বা অপেশাদার গবেষণা এবং
২/ Proffesional research বা পেশাদার গবেষণা।
গবেষণার বিষয় নির্বাচনে করণীয় ধাপ সমুহ নিম্নে উল্লেখ করা হল;
ধাপ ১ : আপনার গবেষণায় আগ্রহের বিষয় নির্ধারণ করুন: আপনি যে বিষয় সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করছেন বা অন্বেষণ করতে আগ্রহী তা নির্ধারণ করে গবেষণা শুরু করতে করতে পারেন৷ আপনার অবশ্যই একাডেমিক এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ বিবেচনায় রাখতে হবে।
ধাপ ২ : সাহিত্য পর্যালোচনা: বিদ্যমান গবেষণা বোঝার জন্য ব্যাপক সাহিত্য পর্যালোচনা পরিচালনা করতে হবে। অনুত্তরিত প্রশ্ন, শূন্যস্থান বিশ্লেষণ, বা আরও কিছুর প্রয়োজনবোধ হলে স্থান নির্ধারণ করতে হবে। গবেষণার সাথে সম্পর্কযুক্ত সাহিত্য পর্যালোচনা করতে হবে।
ধাপ ৩ : ক্রিয়া-কেন্দ্র সীমিতকরণ : নির্দিষ্ট বিষয়ে বিস্তৃত আগ্রহগুলিকে পরিমার্জন করতে হবে। আপনার গবেষণা প্রচেষ্টা কার্যকরভাবে ফোকাস করার জন্য একটি বৃহত্তর ক্ষেত্রের মধ্যে একটি যথাযোগ্য স্থান নির্ধারণ করতে হবে।
ধাপ ৪ : সম্ভাব্যতা যাচাই: আপনার নির্বাচিত বিষয়ের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে । অর্থপূর্ণ গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ, তথ্য এবং পদ্ধতিতে আপনার উপলব্ধি করার ক্ষমতা রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
ধাপ ৫ : তাৎপর্য মূল্যায়ন করুন: আপনার গবেষণার সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করতে হবে। বিদ্যমান জ্ঞানে এর অবদান এবং এটি কীভাবে বাস্তব-বিশ্বের সমস্যাগুলিকে সমাধান করে তা বিবেচনা করতে হবে।
ধাপ ৬ : নমনীয়তা: উদীয়মান প্রবণতা, প্রতিক্রিয়া বা অপ্রত্যাশিত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে আপনার বিষয়কে মানিয়ে নেওয়ার জন্য উন্মুক্ত থাকতে হবে।
ধাপ ৭ : আবেগ এবং অনুপ্রেরণা: এমন একটি বিষয় বেছে নিন যা আপনাকে সত্যিকারের উত্তেজিত করে। আপনার উদ্যম গবেষণা যাত্রার চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে আপনাকে টিকিয়ে রাখবে।
পরবর্তি অংশ পড়তে পেজটি ফলো করে রাখতে পারেন। ফলো করে রাখলে নিয়মিত আপডেট পাবেন।
Research-bangla.com
গবেষণা বিষয়ক নিয়মিত পোস্ট পড়তে Research-bangla.com সাইটের সাথে যুক্ত থাকুন। এছাড়াও ফেসবুক পেজ ফলো করে নিয়মিত আপডেট পান। গবেষনার মাধ্যমে আবিষ্কার করুন নতুনত্ব, নতুন কিছু। গবেষনার মাধ্যমে জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করুন। আমরা প্রত্যেকে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলি। গবেষণা ও একটা প্রক্রিয়া। বাস্তব জীবনে আমরা যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলছি, সে প্রক্রিয়া উন্নত করতে আমাদের গবেষণা বিষয়ক অধ্যায়ন প্রয়োজন। ভালো লাগলে বা যুক্তিযুক্ত মনে হলে Research Topics. Selection of research topic.গবেষণার বিষয় নির্বাচনে করণীয়। বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।